গরমের সময় ডায়াবেটিস রোগীদের এমন ফল খাওয়া উচিত যেগুলোতে লো গ্লাইসেমিক ইনডেক্স (GI), বেশি ফাইবার এবং পর্যাপ্ত ভিটামিন-মিনারেল থাকে। নিচে কিছু নিরাপদ ও উপকারী ফলের তালিকা দেওয়া হলো—
![]() |
স্থানীয় ও মৌসুমি ফল
ডায়াবেটিস রোগীরা নির্ভয়ে খেতে পারেন
১. স্থানীয় ও মৌসুমি ফল
-
পেয়ারা
-
জাম
-
কাঁচা আম (অল্প লবণ দিয়ে)
-
বিলিম্বি বা টক ফল
২. কম মিষ্টি বিদেশি ফল
-
আপেল
-
নাশপাতি (পেয়ারা পেয়ারা)
-
কমলা, মাল্টা, জাম্বুরা
-
কিউই
-
স্ট্রবেরি
-
ব্লুবেরি বা অন্যান্য বেরি
৩. পরিমিত পরিমাণে খাওয়া যায়
-
তরমুজ (একদম সীমিত পরিমাণে, কারণ GI তুলনামূলক বেশি)
-
পেঁপে
-
ড্রাগন ফ্রুট
যেসব ফল এড়ানো বা সীমিত করা উচিত (বিশেষত পাকা কলা)
-
আঙুর
-
কাঁঠাল
-
আনারস (বেশি পরিমাণে নয়)
-
শুকনো ফল যেমন খেজুর, কিসমিস
📅 সাপ্তাহিক ফল চার্ট (গরমের জন্য উপযোগী)
দিন | সকাল (নাশতার পর) | বিকেল (হালকা স্ন্যাকস) | রাতে (ডিনারের পর ১ ঘন্টা পরে) |
---|---|---|---|
সোমবার | ১টা পেয়ারা (ছোট) | কমলা বা মাল্টা ১টা | ৩-৪টা জাম |
মঙ্গলবার | আধা আপেল | নাশপাতি আধা | পেঁপে ৫০–৭০ গ্রাম |
বুধবার | জাম ৪-৫টা | কিউই ১টা | স্ট্রবেরি ৫–৬টা |
বৃহস্পতিবার | পেয়ারা আধা | কমলা বা জাম্বুরা | ব্লুবেরি ১ ছোট কাপ (পরিমিত) |
শুক্রবার | আপেল আধা | পেঁপে ৫০–৭০ গ্রাম | ৩–৪টা জাম |
শনিবার | নাশপাতি আধা | কিউই ১টা | তরমুজ ২–৩ ছোট টুকরা |
রবিবার | পেয়ারা ছোট ১টা | কমলা ১টা | স্ট্রবেরি ৫–৬টা |
নিয়ম মেনে খাওয়ার টিপস
-
একবারে ৫০–১০০ গ্রাম ফলের বেশি খাবেন না।
-
সম্ভব হলে পুরো ফল খান, রস নয়।
-
ফল খাওয়ার আগে রক্তে সুগারের মাত্রা নিয়মিত পরীক্ষা করুন।
-
উচ্চ GI ফল যেমন কলা, কাঁঠাল, আঙুর ইত্যাদি সপ্তাহে একবার বা একেবারেই এড়িয়ে চলাই ভালো।